নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহের তুলনায় কয়েক দফা বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। অন্যান্য পণ্যের দাম কিছুটা বাড়লেও সবজির দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। লকডাউন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই অস্থির হয়ে ওঠে বরিশালের প্রতিটি বাজার। কাঁচাবাজারের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন আর মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত। সবজি কেনা এখন দুরূহ ব্যাপার। তাই ডাল আর ডিমের ওপরই ভরসা খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর। নগরীর প্রতিটি বাজারে ৩৮ টাকা কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। আর ৬২০ টাকা মূল্যের বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে বাড়তে হয়েছে ৬৬০ টাকা। এছাড়া দাম বেড়েছে আলু, আদা, রসুন ও চিনির। ৮০ টাকার দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা, একশত টাকার বিদেশী রসুন ১২০ টাকা, আদা ১২০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা। অন্যদিকে গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিকে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বয়লার মুরগী। ৫৫০ টাকা কেজি দরের গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। এছাড়া খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের চেয়ে বরিশালের বাজারগুলোতে চাল, চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, আদা-রসুন, গরুর মাংস ও খেজুরের দাম বাড়ানো হয়েছে। নগরীর বাজার রোড, পোর্ট রোডসহ অধিকাংশ কাঁচাবাজারে শসা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগেও শসা ও বেগুনের দাম ছিলো ৪০ থেকে ৫০টাকা। এছাড়া বেড়েছে কাঁচা ও শুকনো মরিচের দাম। গত কয়েকদিন আগের ৫০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। পটোল, ঝিঙে, ঢেঁড়স, ধুন্দুলের মতো সবজিও বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা। ২৫ থেকে ৩০টাকা দরের টমেটোর কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। নগরীর বাজার রোডে কথা হয় অবসারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সাথে। তিনি বলেন, লকডাউনের অজুহাতে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এভাবে যদি প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের জন্য বেঁচে থাকা খুব কষ্টকর হয়ে যাবে। একই কথা জানিয়ে এ সময় বেশ কয়েকজন বাসিন্দারা জানান, বাজারগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর জন্য জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply